আমাদের দেশে Second language শেখাতে হবে কিভাবে? How to Teach Listening ? phonetics বা উচ্চারণবিদ্যা, Listening, Speaking, Reading and Writing
আমাদের দেশে Second language শেখাতে হবে কিভাবে?
এই প্রশ্নের জবাবের আগে আর একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং মৌলিক প্রশ্ন করা উচিৎ: কোনাে ভাষা শেখা মানে কী শেখা?
আমরা একটু আগেই দেখেছি যে কোনাে ভাষা শেখা মানে সেই ভাষায় কমপক্ষে ৪টি দক্ষতা অর্জন করা:
Listening
Speaking
Reading
Writing
তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, শেখানাের পদ্ধতিটা এমন হতে হবে যে, তার মধ্যে এই চারটি দক্ষতা বিকাশের সমস্ত উপাদান থাকবে। দুঃখের বিষয় হলো আমাদের দেশে listening এর কোনাে ব্যবস্থা নেই, বা সে ব্যাপারে শিক্ষার্থীদেরকে আগ্রহী করে তােলা হয় না। এবং speaking এর জন্য কোনো পরিবেশ নেই। আমরা শুধু পড়ে আছি reading এবং writing নিয়ে। শাখা-প্রশাখা যদি শিকড়কে অস্বীকার করে, তাহলে তাদের নিজেদের অস্তিত্বের অবস্থা কী হবে?
পদ্ধতিঃ ইংরেজি শেখানাের জন্য কমপক্ষে ৫টি ভিন ভিন কোর্স এর আয়োজন করতে হবে:
একটি কোর্সে শুধু listening শেখানাে হবে;
একটি কোর্সে শুধু speaking শেখানাে হবে;
একটি কোর্সে শুধু reading শেখানাে হবে;
একটি কোর্সে শুধু writing শেখানাে হবে;
এবং
একটি কোর্সে শুধু grammar শেখানাে হবে।
এই হচ্ছে মূল তত্ত্ব কথা, যা যুক্তিসংগতভাবেই গ্রহণ করতে আমরা বাধ্য। কিন্তু বাস্তবে এতগুলাে কোর্সের আয়ােজন করা সম্ভব না হলেও টিচিং ম্যাটেরিয়ালকে এমনভাবে সাজাতে হবে যেন তা দিয়ে এই ৫টি কোর্স করানাে যায়, কিংবা এক এক দিন এক একটি কোর্সের ম্যাটেরিয়াল শেখানাে যায় । তত্ত্বীয়ভাবে মূল বিভাগটি উপরের মতাে, তবে বাস্তবে একটি মাত্র কোর্সেও বিভিন্ন দক্ষত বিকাশের জন্য সপ্তাহের দিনগুলিকে ভাগ করে নেয়া যেতে পারে ।
SS Knowledge Club এর শিক্ষণ পদ্ধতি আরাে আলাদা এবং উন্নত সেখানে কম্পিউটারে বা মােবাইলে ব্যবহারযােগ্য সফটয়ারের মাধ্যমে এমনভাবে ম্যাটেরিয়াল তৈরি করা হয় যার মধ্যে একই সাথে উপরােক্ত সবগুলি দক্ষতা বিকাশের সুযােগ রয়ে যায়। শুধু তাই নয়, সেই ম্যাটেরিয়াল যে কোনাে শিক্ষার্থী নিজের বাড়িতে বসেও অধ্যয়ন করতে পারে। তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, ম্যাটেরিয়ালের কিছু অংশ এমন হওয়া উচিত যা শিক্ষার্থী বাড়িতে বসেই অনুশীলন করতে পারবে, এবং যাতে আধুনিক বিজ্ঞানের সাম্প্রতিকতম প্রযুক্তিকে ব্যবহার করা হবে।
এখন আমরা প্রতিটি দক্ষতা (skill) শেখানাের জন্য উপযুক্ত পদ্ধতি অনুসন্ধান করব ।
How to Teach Listening
Listening শেখানাে খুব বেশি সহজ কাজ নয়। কারণ আমরা বলতে পারি সারা দিন, বা প্রচুর বলতেও চাই, কিন্তু কেউ তা শুনতে চায় না। কাউকে কিছু শােনাতে হলে প্রথমে বিষয়টির প্রতি তাকে আগ্রহী করে তুলতে হবে। দ্বিতীয়ত, সেই কাজে তার কান দুটিকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। আমরা সারা জীবন অতীব আগ্রহ নিয়ে টেলিভিশনে ইংরেজি ছবি দেখি, তার পরেও আমাদের লিসেনিং এবিলিটি বাড়ে না। এ থেকে কী প্রমাণিত হয়? এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, শুধু শুনলেই হবে না, কিভাবে শুনতে হয় আগে তা জানতে হবে।
শােনার আগে জানতে হবে যার কথা শুনছি তার জিহ্বার বৈশিষ্ট্য কী: সে কিভাবে কথা বলে, কেন বলে? এর নাম phonetics বা উচ্চারণবিদ্যা।
দুঃখের বিষয়, একটি কথা এখানে না বলে পারা যাচ্ছে না। বাংলাদেশে এখন মেথড এর ছড়াছড়ি। সারা পৃথিবীর সমস্ত মেধা যেন এখানেই ঘণীভূত হয়েছে, ফলে পৃথিবীর যে সব দেশের মানুষ আকাশে চরে বেড়াচ্ছে তারাও ইংরেজি শেখানাের যে মেথড বের করতে পারছে না, আমাদের এখানে সেই অসাধ্য সাধন করার লােকেরও অভাব নেই। আর এ কারণেই আমাদের বড় ক্ষতিটা হয়ে গেল । একটু চিন্তা করে দেখুন: তৃতীয় শ্রেণী থেকে ডিগ্রী পর্যন্ত সব শ্রেণীর ইংরেজি পাঠ্যবই হিসেবে এদেশে প্রায় সব স্কুল ও কলেজে মাত্র একজন বা এক জোড়া লেখকের বই পড়ানাে হয় । কি বিস্ময়কর ব্যাপার! গােটা জাতির প্রাতিষ্ঠানিক ইংরেজির ইমরাতটি দাঁড়িয়ে আছে মাত্র এক-দুই জনের ভঙ্গুর কাঁধের ভিতের ওপর । জাতি যদি সফল হতাে তাহলে সেই মর্যাদা তারা ভােগ করতেন। ইংরেজি শেখার ব্যাপারে গােটা জাতি ব্যর্থ । তাহলে এই ব্যর্থতার দায়ভার কে বহন করবে? গােটা জাতির মাথায় ঘােল ঢেলে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা হাতিয়ে নেয়ার মতাে ঔদ্ধত্য যারা দেখাতে পারে, সম্ভবত জাতির গ্যর্থতার দায়ভারও তাদেরকেই বহন করা উচিত।
যা হােক, phonetics শেখানাের নামে এদেশে অনেক প্রতিষ্ঠানে ইংরেজি শেখানাে হয় যা শােনার সময়ে মনে হয় বক্তা চটপটি খাচ্ছে আর কথা বলছে: মুখে সে যে কি ঠাস-ঠুস। তরুণ তরুণীরা মনে করে এটাই মনে হয় ইংরেজি। তাদের কী দোষ? তাদেরকে যা শেখানাে হয় তারা তাে তাই শিখবে।তাদরেকে আমের শাঁস বাদ দিয়ে খােসা এবং আঁটি খাওয়ানাে হয়। অর্থাৎ phonetics এর আসল জিনিসটাই তাদেরকে শেখানাে হয় না: accent যেটুকু শেখানাে হয় তার মধ্যে ভুলের পরিমাণ অসম্ভব রকম বেশি। এই অর্ধসমাপ্ত যােগ্যতা নিয়ে তারা যখন ইংরেজি বলে তখন মনে হয় তারা কোনাে আঞ্চলিক ভাষা বলছে।
আমাদের শিক্ষার্থীদের phonetics শেখা যদি সার্থক হতাে তাহলে listening এও তাদের কোনাে সমস্যা হতাে না। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় যে তথাকথিত phonetics এ ওস্তাদ হয়ে যাওয়ার পরেও লিসেনিং এবিলিটির কোনাে পরিবর্তন হয় না। এটা কানের দোষ নয়। সুতরাং কানের ডাক্তারের কাছে গিয়ে কোনাে লাভ হবে না। Listening শেখানাের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলিকে মনে রাখতে হবে সেগুলি হলাে:
১. অক্ষর আর ধ্বনি এক কথা নয়। যেমন: ইংরেজিতে Vowel অক্ষর আছে ৫টি কিন্তু vowel ধ্বনি আছে কমপক্ষে ২০টি! ( Phonetricks সফটওয়ারটি ডাউনলোড করে শেখা যায়)
২. শুধু ধ্বনি শেখালেই হবে না, একাধিক ধ্বনির মিলনস্থলে সন্ধির কারণে যে পরিবর্তনটি সংঘটিত হয় তাও শেখাতে হবে ।
৩. প্রতিটি শব্দকে শিখতে হবে কান দিয়ে, শুধু চোখ দিয়ে নয়। অর্থাৎ উচ্চারণ এক জিনিস, আর বানান অন্য জিনিস । Phonetics বানানের দিকে তাকায়না।
৪. প্রতিটি শব্দের একটি ব্যক্তিত্ব আছে; তার accent বা শ্বাসাঘাত তার ব্যক্তিত্বের অন্যতম উপাদান । এই বিষয়টি না শিখে কোনাে শব্দ শেখা মানে একটি ভুল শব্দ শেখা। আর শেখা যখন একবার ভুল হয়ে যায়, উল্টো করে শিখিয়ে আবার শুদ্ধ করা কঠিন হয়ে যায় ।
পরবর্তী পর্বে থাকছে..
চোখ রাখুন আমাদের ওয়েব সাইটে
Useful topic
ReplyDeleteGreat
ReplyDelete