Ads

কোথা থেকে English শেখানাে শুরু করতে হবে?


Where to Start Teaching English

এই প্রশ্নটি এত বেশি গুরুত্বপূর্ণ যে, কোনাে বিশেষ জবাব সাঠক কি না সে ব্যপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে প্রশ্নটি নিয়েই অনেকক্ষণ ভাবা উচিত। যদি গ্রামার দিয়ে শেখানাে শুরু করি, তাহলে গ্রামারের কোন অধ্যায় থেকে শুরু করতে হবে:Part of Speech, না কি noun না কি অন্য কিছু? সচরাচর শিক্ষকগণকে দেখা যায় গ্রামার বইতে অধ্যায়গুলিকে যেভাবে সাজানাে থাকে সেই ধারা এ অনুযায়ী পাঠ দান করতে। কিন্তু আমরা আগেই জেনেছি যে শেখার প্রাকৃতিক ও ধারা আর আদি মডেলের পাঠ্যপুস্তক লেখার স্বাভাবিক ধারা এক নয়। যেমন, আমরা tense শেখানাের সময়ে প্রথমে present indefinite, পরে past। indefinite এবং তার পরে future indefinite ইত্যাদি কায়দায় শেখাতে থাকি । কিন্তু একটি শিশু প্রথমে শেখে present indefinite এবং present। Continuous tense. আমরা বাক্যরীতির ব্যাপারেও গতানুগতিক একটি নিয়ম অনুসরণ করি: প্রথমে শেখাই affirmative sentence, তারপর negative sentence, তারপর interrogative sentence ইত্যাদি। কিন্তু একটি শিশু প্রথমে শেখে imperative sentence (যেমন, ‘দে!' ‘যা!')। তারপর শেখে negative sentence (যেমন, কিছু খেতে দিলে বলে। ‘খাব না।') এবং তারপর শেখে interrogative sentence (যেমন: এটা কী?')!
এভাবে অনেক তথ্য জড়াে করে দেখানাে যায় যে, আমাদের শিক্ষাদান পদ্ধতি হলাে অনেকাংশে প্রকৃতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ব্যর্থ অঙ্গীকার মাত্র । আর তাই আমরা দ্রুত আমাদের কর্মের ফল পাই - কুফল । সুতরাং এখনই সময় সত্যকে বােঝার এবং অনুধাবন করার এবং সে অনুযায়ী সঠিক পথ বেছে নেয়ার । জাতির মঙ্গলের জন্য তা করতে হবে - এই শ্লোগান দিলে হয়তাে অনেকেই সাড়া দেবে না। সুতরাং এরূপ দেশ উদ্ধারের পরিকল্পনা আপাতত বাদ দিয়ে কেবল নিজের সফলতার কথা বিবেচনা করেও বলা যায় যে, সঠিক পথ যে-কোনাে ব্যক্তিকে অতি দ্রুত সফলতার দিকে নিয়ে যাবে, আর এভাবে, আমাদের নিজেদের অজানতে হলেও, গােটা জাতি সফল হবে।
একজন চিন্তাশীল শিক্ষকের কাছে প্রয়ােজনীয় সব তথ্য নাও থাকতে পারে। তাই বলে তিনি দমে যান না। একটু চিন্তা করলে নিজেই একটি সফল মেথড বের করা সম্ভব। তবে মেথড যাই হােক, মূল ফিলােসফি হতে হতে কমিউনিকেটিভ। ফলে, আপনি যেখান থেকেই পাঠদান শুরু করেন না কেন, খুব বেশি সমস্যা হবে না যদি আপনি এই কথাটি মনে রাখেন যে, তা-ই শেখাতে হবে যা শিক্ষার্থী শেখার সঙ্গে সঙ্গেই প্রয়ােগ করতে পারবে, শিখতে ও প্রয়ােগ করতে আগ্রহী হবে এবং অনুপ্রাণিত বােধ করবে ।
এই উদ্দেশ্য সফল করতে হলে পরিকল্পিতভাবে টিচিং ম্যাটেরিয়াল তৈরি করে নিতে হবে।এবং সবচেয়ে বড় কথা হলাে সেই গােড়ার কথাটা: গ্রামার শেখাই বা শব্দ শেখাই বা রাইটিং শেখাই, মােটের ওপর যা শেখাচ্ছি তা হলাে ইংরেজি - এ কথা যেন ভুলে না যাই।এবং ভাষা কখনও জীবন থেকে আলাদা কিছু নয়।একারণে কতকগুলাে structure মুখস্থ করালেই উদ্দেশ্য সফল হয় না। ভাষার ম্যাটেরিয়াল এবং তা শেখানাের যন্ত্রপাতিকে জড়াে করে বসে যেতে হবে জীবনের প্রত্যক্ষ খেলার মাঠে। শিক্ষণ বা প্রশিক্ষণ কোনােটাই জীবন থেকে আলাদা করার বিষয় নয়।
অর্থাৎ শেখানাের শুরুতেই এমন কিছু topic দিয়ে শুরু করতে হবে যা শিক্ষার্থীর জানা এবং যার প্রতি শিক্ষার্থীর স্বাভাবিক আগ্রহ আছে এবং যে বিষয়ে তার মাতৃ ভাষাতেই কিছু ভাব প্রকাশ করার যােগ্যতা তার আছে। এরূপ টপিকের ওপর লেখাগুলাে এমন হওয়া চাই যার মধ্যে ভাষার জটিলতা বাস্তব জীবনের চেয়ে ভিন্ন হবে না। যেমন, পঞ্চম শ্রেণীর কোনাে শিক্ষার্থীকে যদি এমন গ্রামার শেখাতে চাওয়া হয় যার আইডিয়াটা বােঝার বয়সই তার হয়নি, তাহলে সেই পাঠদান ব্যর্থ হতে বাধ্য।
প্রতিটা ভাষায় শিশু যখন তার ভাব প্রকাশ করতে শেখে তখন তার শেখার ধরন ভাষার জটিলতার কিছু স্তরভেদকে তুলে ধরে। কারণ, যে শিশুর মাতৃভাষা যাইহােক না কেন, মানব শিশুর মনের নিজস্ব একটি গ্রামার আছে। আমরা একে বলতে পারি Mental Grammar. এই গ্রামার হলাে মনের ভাষা-বিষয়ক একটি প্রাকৃতিক কাঠামাে। এই গ্রামারের অস্তিত্ব আছে বলেই Noam = Chomsky-র Universal Grammar এর ধারণাটি অর্থপূর্ণ।
তবেএকটি কথা মনে রাখতে হবে: শিক্ষার্থীকে যখন, উদাহরণস্বরূপ, My Family এর ওপর একটি পাঠ শেখানাে হচ্ছে, তখন তার মনে যেন কোনোভাবেই এই আতঙ্ক প্রবেশ না করে যে, তাকে একটু পরেই গ্রামার শেখানো হবে। শিক্ষার্থীর মন যে জিনিসটিকে অপছন্দ করে সে জিনিসটি এসে হাজির হওয়ার আগেই সে যেন সে ব্যাপারে আতঙ্কিত হওয়ার সুযােগ না পায়। সেই বিষয়টিকে তার সামনে তখনই এনে হাজির করতে হবে, যখন সে নিজের অজান্তেই বিষয়টিকে অর্ধেকের বেশি আয়ত্ত করে ফেলেছে। অর্থাৎ analysis এর দ্বারা আক্রান্ত হয়ে paralysis এ আটকে যাওয়ার চেয়ে প্র্যাকটিসের মাধ্যমে বিষয়টিকে আগে এমনভাবে রপ্ত করিয়ে নিতে হবে যেন তত্ত্বীয় বিশ্লেষণের সময়ে শিক্ষার্থী দেখতে পায় যে সে তাই করছে যা সে নিজে জানে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে সফলতার প্রতি মানুষের মন বিশেষভাবে সাড়া দেয় যেমন: প্রতিটি পরীক্ষায় বার বার খারাপ ফল করার কারণে লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিল, এবং তার ফলে তাদের পেছনে অর্থ, শ্রম ও সময় অধিকতর বেশি ব্যয় করা সত্ত্বেও পরীক্ষায় তাদের ফল আরাে বেশি খারাপ আসছিল, এমন দশ জন শিক্ষার্থীর ওপর একটি বিশেষ পরীক্ষণ চালানো হয়েছিল। তাদেরকে আলাদা করে পরীক্ষার মুখােমুখি করা হলাে এবং তাদের প্রশ্নপত্রকে অন্যান্যদের প্রশ্নপত্রের তুলনায় অনেক সহজ করে তৈরি করা হয়েছিল, যা তারা জানত না। উদ্দেশ্য ছিল একটাই: তারা যেন তাদের যােগ্যত প্রয়ােগ করার মাধ্যমে পরীক্ষায় ভালাে করে। ফলাফলে দেখা গেল তারা প্রায় দুই বছর পর প্রথম পাশ করল এবং যে হারে নম্বর পেয়েছিল তা তাদের নিজেদের ধারণার বাইরে। এরপর থেকে ঐ দশ জন শিক্ষার্থীকে আর আলাদা করে নির্মিত কোনাে সহজ প্রশ্নপত্র দেয়া হয়নি। কিন্তু এরপর তারা কেউ কোনাে পরীক্ষায় আর ফেল করেনি। কারণটি ছিল খুবই মজার: একবার সফতা হওয়ার কারণে তারা তাদের সফলতাকে ধরে রাখতে চেয়েছিল। এবং সফলতা তাদের আত্মবিশ্বাসকে বাড়িয়ে দিয়েছিল।
ভাষা শেখানাের ক্ষেত্রে একটি কথা মনে রাখতে হবে: শেখানাের এবং পাণ্ডিত্য জাহির করার লােভ সংবরণ করে আমাকে আমার শিক্ষার্থীদেরকে সফল ক’ তােলার স্বপ্ন দেখতে হবে। ভাষা এত জটিল জিনিস যে তা শেখানাে যায় না । আবার, তা এত সহজ জিনিস যে তা শেখার প্রয়ােজন হয় না। শিক্ষা-দীক্ষায় বিবর্জিত, সৌভাগ্য-বিতাড়িত বস্তি অঞ্চলে ঐ যে অনাথ শিশুটি বেড়ে উঠেছে, সে অংক বা বিজ্ঞান না জানলেও, ভাষা আপনার বা আমার থেকে কোনাে অংশে কম জানে না, অথচ কেউ তাকে কোনাে মহান গ্রন্থ ধ’রে ভাষা শেখায়নি। বরং সে এমন কিছু শব্দ বেশি ব্যবহার করে যা আপনি আমি করি না বা জানিও না (গালাগালি জাতীয় শব্দ)। আসলে, একটি বুনাে ফুলের চারা যেমন স্বাভাবিক নিয়মে বেড়ে ওঠে, তেমনি ভাষাও মানুষের মধ্যে তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের এবং বুদ্ধির চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে বেড়ে ওঠে। অর্থাৎ ভাষা কোনাে শেখার বা শেখানাের বিষয় নয়; তা হলাে এমন কিছু যা প্রাকতিক নিয়মে বিকশিত হয়ে ওঠার বিষয় ।

2 comments:

Powered by Blogger.